জ্বর আমাদের কম বেশি সবারই হয়ে থাকে। ছোট থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষের জ্বর হয়ে থাকে। জ্বর হলেই আমাদের মাথায় আছে ঔষধ খেতে হবে। যেমন আমরা সাধারনত জ্বর হলেই প্যারাসিট্যামল খেয়ে থাকি। কিন্তু জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় আছে। জ্বর হলেই যে ঔষধ খেতে হবে এমনটা নয়। তবে জ্বর অনেকদিন ধরে থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
তবে স্বাভাবিক ভাবে যখন আপনার জ্বর আসবে তা দ্রুত ঘরোয়া কিছু উপায়ে সাড়ানো সম্ভব।
আসুন আজকে জেনে নেই দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলোঃ
১. কুসুম গরম পানিতে গোসল বা শরীর মুছিয়ে দেওয়া
জ্বর হলে আমাদের শরীলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। যার কারনে শরীরে শীত শীত ভাব হয়। তাই জ্বর ১০০ বেশি হলে তখন আপনি হালকা কুসুম গরম পানিতে গোসল করিয়ে দিতে পারেন। এর জ্বর দ্রুত কমে যাবে। এই পদ্ধতিতি প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। এছাড়াও যদি গোসল না করানো হয় বা সম্ভব না হয় তাহলে কাপর দিয়ে শরীর মুছিয়ে দিতে পারেন এতে দ্রুত জ্বর করে যাবে। দ্রুত জ্বর কমানোর এটি হলো সর্ব প্রথম উপায়।
২. জ্বর কমাতে মাথায় পানিপট্টি দিন
জ্বর হলে শরীরের অতিরিক্ত তাপমাত্রা কমানোর ভাল একটি পদ্ধতি হলো মাথায় পানিপট্রি দেওয়া বা জলপট্রি দেওয়া। এই জ্বর কমানোর একটি প্রাচীন পদ্ধতি। যখন শরীরে জ্বর আসবে আপনি একটি রুমাল বা কাপড় ভিজিয়ে কপালের উপর দিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষন পরপর রুমালটি পানি যখন শুকিয়ে যাবে বা হালকা গরম হয়ে যাবে তখন পুনরায় ভিজিয়ে আবার মাথায় দিয়ে দিতে হবে। এভাবে কয়েকবার করতে থাকলে শরীরের তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং জ্বর কমে যাবে।
৩. জ্বর কমাতে তুলসি পাতার ব্যবহার
তুলসি পাতার গাছ আমরা সকলে চিনি। তুলসি পাতার রস যে শুধু মাত্র ঠান্ডা কাশি ভাল করে এমনটা নয়। তুলসি পাতার রস জ্বর কমাতেও সাহায্য করে। দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে তুলসি পাতা অন্যতম একটি সমাধান।
গরম পানিতে তুলসি পাতা ভিজিজে প্রতিদিন সকালে পান করলে দ্রুত জ্বর কমে যাবে। তুলসি পাতাতে থাকে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদান আমাদের শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে
৪. জ্বর কমাতে মধু
আমাদের সবার বাড়ীতে মধু পাওয়া যায়। জ্বর কমাতে মধু খুবই কার্যকারী একটি উপায়। মধুতে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরের ব্যাটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাই জ্বর কমাতে এক চামচ মধু ও লেবুর রস গরম পানিতে মিশিয়ে চায়ের মত করে পান করুন দ্রুত জ্বর কমে যাবে। বিস্তারিত জানতে মধুর উপকারিতা ও গুনাগুন পড়ুন!
৫. জ্বর কমাতে আদার ব্যবহার
জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় হলো আদা। আদা কিন্তু আমরা সাধারনত খেয়ে থাকি কিন্তু আদার গুনাগুন গুলো জানি না। আদার অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শরীরের তাপমাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
আদা আপনি বিভিন্ন ভাবে ক্ষেতে পারেন আদা কুচি করে গরম পানিতে মিশিয়ে খেতে পারেন আবার মধুর সঙ্গে আদা মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও লেবুর সর, আদা, মধু একসাথে মিশিয়ে চায়ের মত করে দিতে ৩/৪ বার খেতে পারেন। এদে দ্রুত জ্বর কমে যাবে।
৬. জ্বর কমাতে রসুনের ব্যবহার
রসুনে আছে অনেক গুনাগুন। দ্রুত জ্বর কমানোর আরেকটি মাধ্যম হলো রসুন। এককোয়া রসুন কুচি করে গরম পানিতে ১০/১২ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন এবং সেই পানি চায়ের মত করে পান করুন। রসুন চাইলে আপনি কাচাও খেতে পারেন।
৭. জ্বর কমাতে ভিটামিন
শরীরে যদি ভিটামিনের অভাব দেখা দেয় তাহলে শরীর দুর্বল হয়ে পরে তখন রোগ জীবানু দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পরে। জ্বর হলেও শরীরে ভিটামিনের অভাব পরে তখন দ্রুত ভিটামিন যুক্ত খাবার খাওয়া অতি জরুরী। একটি সঠিক তালিকা করে ভিটামিন আছে যেসব খাবারে সেগুলো খান এতে জ্বর কমে যাবে।
৮. জ্বর কমাতে তরল খাবার
জ্বর হলেই আমরা জানি যে রোগীকে তরল খাবার খাওয়াতে হবে। কথাটা ঠিক আছে। জ্বর সারাতে তরল খাবার শরীরের জন্য খুবই উপকারি। জ্বর হওয়া বেক্তিকে তরল খাবার যেমন সুপ, জুস এমনি জাল যুক্ত খাবারও খাওয়াতে পারেন। এটিও জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়ের একটি উপায়।
৯. জ্বর কমাতে বিশ্রাম
জ্বর হলে বিশ্রামের বিকল্প নেই। যখন শরীরে জ্বর আসবে বাসায় থাকুন এবং পর্যাপ্ত পরিমান বিশ্রাম নিন এতে সংক্রমনের আশঙ্কা কমে যাবে। এবং দ্রুত জ্বর কমতে সাহায্য করবে।
সর্বশেষ বলা যায়, দ্রুত জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায় গুলো তো থাকবেই এর পাশাপাশি রোগীকে যদি প্রয়োজন পরে বা অধিক জ্বর হয়ে থাকে তাহলে প্যারাসিট্যামল খাওয়াতে পারেন তবে ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভাল। জ্বর হলে রোগীকে একটি নিয়ম মেনে চলতে হবে তাহলে জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়ে জ্বর কমানো সম্ভব।
আমাদের সম্পর্কেঃ
কলিকাতা হারবাল এটি একটি অত্যাধুনিক ইউনানী আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা কেন্দ্র । কলিকাতা হারবাল যুগ যুগ ধরে আপনাদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতে থাকবে। আপনাদের যেকোন সমস্যায় সরাসরি চেম্বারে আসুন প্রয়োজনে ফোন করুন 01763663333, কলিকাতা হারবাল এর ডাক্তারের সাথে আপনার সমস্যা খুলে বলুন। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ শেফা দান করবে।