স্বাস্থ্য বিষয়

আমাদের অনেকেরই ঠান্ডা বা কাশি হয়ে থাকে। যা ঔষধের মাধ্যমেও অনেক সময় দূর হয় না। এমনকি ঔষধ খাওয়ার পরে ভালো হওয়ার কিছুদিন পরে আবার কাশি শুরু হয়ে হয়ে যা। কিন্তু কাশি দূর করার কিছু ঘরোয়া উপায় আসে আপনি এটা ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

সার্দি কাশি বা এলার্জনিক ঠান্ডা কাশি অনেক কারনেই হতে পারে। অনেকের ঠান্ডা কাশি সব সময় লেগেই থাকে।

আজকে আমরা জানবো কাশি কেন হয়? কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং কি কি বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

চলুন প্রথমে জেনে নিই কাশি কেন হয় আর ঘরোয়া উপায়ে কিভাবে কাশি দূর করতে পারেন:

জেনে নেই কাশি কেন হয়?

বিভিন্ন কারনে কাশি হতে পারে। তবে স্বাভাবিক ভাবে দেখতে গেলে শীতে বা ঋতু পরিবর্তনের কারনে আবার অনেক সময় গরম বা ঠান্ডার কারনে সর্দি ও খুসখুসে কাশি হয়ে থাকে। এটি অ্যালার্জেন, ধুলা, ধোঁয়া বা দূষণের কারণেও ঘটতে পারে। অনেকের আবার সাইনাস সমস্যার কারনে সর্দি বা কাশিতে ভুগে থাকেন। এটাও দেখা যায় অনেকের ধূমপানের কারনেও কাশি হয়। এগুলোই হলো কাশি হবার সাধারন কারন যা আপনি ঘরোয়া উপায়ে সমাধান করতে পারবেন।

অনেকে কাশির জন্য ডাক্তার দেখায় বা অনেক ঔষধ খেয়ে থাকে। কিন্তু প্রাথমিক ভাবে ঘরোয়া উপায়ে ঠান্ডা কাশি দূর করা সম্ভব। অনেকেই এই ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ বোধ করছে।

আসুন এখন জেনে নেই কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো:

ঠান্ডা, সর্দি, এলার্নিত, শুকনা কাশি দূর করার জন্য আপনিও এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

১। কাশি দূর করতে মধু

মধু আমরা সবাই চিনি এবং মধুর উপকারিতা অনেক। মধু হলো সর্দি বা কাশি দূর করার সর্ব প্রথম ঘরোয়া উপায়। মধুনে অনেক অ্যান্টিঅক্মিড্যান্টস থাকে যা আপনার ঠান্ডা কাশি দূর করতে খুবই কার্যকারী। ডাক্তারদের মতে মধু কাশির জন্য ঔষধের চেয়ে ভাল এবং দ্রুত কাজ করে। তাই দ্রুত কাশি কমাতে প্রতিদিন মধু খেতে পারেন।

কিভাবে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন?

মধু সাধারনত এমনি খাওয়া যায় কিন্তু কাশি দূর করতে মধু নিয়ম মেনে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন।

ক. হালকা গরম পানিতে ২ চামচ মধু ও কিছুটা লেবুর রস এর সাথে সামান্য আদার রস মিশিয়ে প্রতিদিন ১/২ বা খেলে দ্রুত কাশি দূর হবে।

খ. দিতে ২/৩ বা ১ চামচ করে মধু খেলেও দ্রুত খুসখুসে কাশি দূর হবে।

গ. রাতে ঘুমানোর আগে গরম দুধের সাথে ২ চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি থেকে উপশম পাবেন।

ঘ. চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

২। লবনপানির গার্গল

অনেক আগে থেকেই লবন পানির গার্গল ব্যবহার হয়ে আসছে। ছোট বেলা থেকেই এটির ব্যবহার দেখে আসছি। তবে এটি কাজ করে। লবণ পানির গার্গলে গলার খুশখুশে ভাব কমে যায়। হালকা কুসুম গরম পানিতে ১/৪ চামচ লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন বেশ কয়েকবার গার্গল করুন দেখবেন আপনার খুশখুশে ঠান্ডা কমে যাচ্ছে এবং আরাম বোধ করছেন।

৩। কাশি দূর করতে আদা

আদা আপনি যেকোন ভাবে খেতে পারেন। আপনি চাইলে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন অথবা সরাসরি মুখে নিয়েও খেতে পারেন। যদি আপনার খেতে খারাপ লাগে তাহলে চায়ের সঙ্গে আদা মিশিয়ে অথবা লবন পানিতে মিশিয়েও খেতে পারেন। আসা করছি ঠান্ডা কাশি থেকে উপকার পাবেন। তবে প্রতিদিন অনেক বেশি আদা না খাওয়াই ভাল।

৪। কাশি দূর করতে তুলসি পাতা

ছোট বেলায় বাবা-মা ঠান্ডা লাগলেই তুলসি পাতার রস খাওয়াতে। তখন বুঝতাম না। কিন্তু তুলসি পাতা আসলেই ঠান্ডা দূর করার একটি অন্যতম ঘরোয়া পদ্ধতি। তবে তুলসি পাতা খেতে তেমন ভাল না তাই আপনি চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন এতে খেতে ভাল লাগবে। এটি সর্দি কাশি দূর করার একটি ঘরোয়া উপায়। 

৫। খুশখুশে কাশি দূর করতে বাসক পাতা

বাসক পাতার রস ঠান্ডা কাশি দূর করতে সাহায্য করে। বাসক পাতা সেদ্ধ করে সেই পানি ছেকে নিয়ে গরম গরম চায়ের মত করে খেলে উপকার পাবেন। চাইলে আপনি চায়ের জন্য বা চিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। প্রতিদিন সকারে বা সন্ধ্যায় এটি খেতে পারেন খুব ভাল ফল পাবেন।

৬। গরম দূধে হলুদের মিশ্রণ

দ্রুত কাশি দূর করতে দুধকে গরম করে এর মধ্যে অল্প হলুদ মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হবে। হলুদ আমাদের সর্দি কাশি দূর করতে সাহায্য করে। তাই গরম দুধে হলুদ মিশেয়ে খেয়ে দেখতে পারেন। আসা করছি ঠান্ডা কাশি দূর হবে।

৭। কাশি দূর করতে ইউক্যালিপটাস তেল

নারিকেল বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ইউক্যালিপটাস তেল মিশিয়ে বুকে এবং গলায় ঘষুন ঠান্ডা বা কাশি থেকে উপশম পাবেন দ্রুত। এছাড়াও এই তেল এক বাটি গরম পানিতে কয়েক ফোটা তেল পানিতে মিশিয়ে ভাপ নিতে পারেন কাশি দূর হয়ে যাবে।

৮। কাশি দূর করতে মেন্থল ক্যান্ডি

মেন্থল দিয়ে তৈরী ক্যান্ডি বা চকোলেট কাশির জন্য উপকারী। আপনি প্রতিদিন এই ধরনের ক্যান্ডি খেতে পারেন। বাজারে মেন্থলের চকলেট পাওয়া যায়।

বাচ্চাদের কাশি দূর করার উপায় জেনে নিন

– এক গ্লাস গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে দিনে ৩ বার গার্গল করা খুব উপকারি।
– শিশুকে এক টুকরো আদার সঙ্গে মধু মিশিয়ে খাওয়াতে পারেন।
– কাশির সমস্যা হলে শিশুকে বারবার গরম স্যুপ খাওয়ান। 
– মিছরি খাওয়াতে পারেন শিশুকে। 
– গরম পানিতে এক চামচ মধু ও সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান। তবে এক বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের মধু দেবেন না।
– এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ালে কাশি থেকে স্বস্তি মিলবে। 

মূলকথা: ঠান্ডা বা কাশি এই সকল আমাদের হবেই। তাই যে সকল কারনে ঠান্ডা বা কাশি লাগে সে সকল বিষয় এড়িয়ে চলুন এবং ঠান্ডা জিনিস পরিহার করুন, ধূমপান ত্যাগ করুন, ধূলা বালি এড়িয়ে চলুন, প্রয়োজনে মাস্ক ব্যবহার করুন। আসা করছি আপনি ঠান্ডা বা কাশি থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে পারবেন। অসুস্থ বেশি হয়ে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

আপনি যদি এলার্জি, এ্যাজমা, যৌন, কিডনি, লিভার, পাইলস সম্যায় ভুগে থাকেন দেরি না করে সরাসরি কলিকাতা হারবাল সাথে যোগাযোগ করুন। অথবা সরাসরি কল করুন: 01763663333

Leave a comment