তেলাকুচা এক প্রকারের ভেষজ উদ্ভিদ। গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে ঝোপে ঝারে তেলাকুচা দেখতে পাওয়া যায়। তেলাকুচা পাতায় যেমন উপকার রয়েছে তেমনি এর ফল, কান্ড এবং মূল ও ভেষজ হিসেবে ব্যাবহৃত হয়। অনেক অঞ্চলেই তেলাকুচা পাতা সবজি হিসেবে খাওয়া হয়।
আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে তেলাকুচা পাতার উপকারিতা কি।
আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায় এমন অনেক ভেষজ উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলের গুনাগুন সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই কোনো ধারনা নেই। এমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হলো তেলাকুচা পাতা।
জেনে নিন তেলাকুচা পাতার উপকারিতা
জন্ডিস ভালো করে
জন্ডিস খুবই জটিল একটি রোগ। তেলাকুচা পাতার রস তৈরি করে প্রতিদিন খাওয়ালে জন্ডিস কমে যাবে।
হাত পা জ্বালা পোড়া বন্ধ করে
পরিষ্কার পানির সাথে একটু চুন এবং তেলাকুচা পাতা ভিজিয়ে হাতে পায়ে ভালোভাবে ঘষে নিলে হাত পা জ্বালাপোড়া করা অনেকটাই কমে যাবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে
ডায়াবেটিস হলে তেলাকুচা পাতার মূল সহ ছেঁচে প্রতিদিন আধাকাপ সকালে ও বিকালে খেতে হবে। তেলাকুচা পাতা রান্না করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগের উপকারিতা পাওয়া যায়। বিভিন্ন ধরনের শাকের সাথে তেলাকুচা পাতা ভাজি করে খেলেও ডায়াবেটিস রোগ নিরাময় করা যায়।
শ্বাসকষ্ট দূর করে
ঠান্ডা কাশির কারনে অনেকের শ্বাসকষ্ট হয়। তেলাকুচা পাতার রস গরম করে পতিদিন ৩/৪ বার সেবন করলে শ্বাসকষ্ট অনকটাই কমানো সম্ভব।
ব্রন কমাতে সাহায্য করে
মুখে ব্রন হলে তেলাকুচা পাতার রস অথবা পাতা হালকা ছেঁচে পতিদিন সকালে ও রাতে মুখে লাগালে ব্রন কমে যাবে।
এ্যালার্জি কমায়
তেলাকুচা পাতার রস করে তার সাথে সামান্য হলুদের গুড়া এবং মধু মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে খেলে এ্যালার্জি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন – এলার্জি দূর করার উপায়
স্তনে দুধের স্বল্পতা দূর করে
সন্তান প্রশবের পর অনেকেরই স্তনে দুধ আসে না আবার অনেকের শরীর কালচে হয়ে যায় । যদি মায়ের এমন আশঙ্কা দেখা দেয় তাহলে তেলাকুচা ফলের রস গরম করে তার সাথে কয়েক ফোটা মধু মিশিয়ে সকালে ও বিকালে ৬/৭ দিন খাওয়াতে হবে।
ফাঙ্গাল বা দাদ দূর করে
ফাঙ্গাল একটি সংক্রমক রোগ। যা মানবদেহের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমিত হয়ে থাকে। তেলাকুচা পাতার সাথে সামান্য কিছু নিম পাতা শিল পাটায় বেটে ক্ষত স্থানে দিনে ৩/৪ বার লাগালে দাদ কমে যাবে।
খাবারে রুচি ফিরিয়ে আনে
সর্দিতে মুখে অরুচি হলে তেলাকুচা পাতা সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে ভালো করে ভেজে গরম ভাতের সাথে খেলে খাবারে রুচি আসবে।
আমাশয় ভালো করে
আমাশয় হলে তেলাকুচার কান্ড ও পাতার রস ২/৩ চা চামচ করে প্রতিদিন সকালে ও রাতে ৭ দিন খেতে হবে।
হাত পা ফোলা বন্ধ করে
অনেক সময় বসে থাকলে অথবা গাড়িতে জার্নি করলে হাত পা ফুলে যায়। এটাকে বলা হয় শোথ রোগ। তেলাকুচার পাতা ও মূল ছেঁচে রস করে প্রতিদিন ৩/৪ চা চামচ খেতে হবে। এভাবে ৪-৭ দিন খেলে শোথ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন – গলা ব্যথা হলে করণীয় কি
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।