স্বাস্থ্য বিষয়

রোগ পুষে রাখবেন না এতে আপনারই ক্ষতি হবে।রোগ শু দিকে দ্রুত নির্মূল সম্ভব। হোমিও ও এলোপেথিক ঔষধে দ্রুত সু-চিকিৎসা পাওয়াটা একটু কষ্ট সাধ্য,তবে হারবাল চিকিৎসায় জটিল যৌন রোগ সহ যাবতীয় রোগের খুব দ্রুত রোগ নির্মূল সম্ভব। কলিকাতা হারবাল ঔষধে কোন সাইড ইফেক্ট হয় না। রোগ বুঝে ঔষধ দিলে আপনার রোগ সেরে উঠতে বাধ্য। এজন্য অবশ্যই সকল রোগ সমস্যা আমাদের ডাক্তারদের কাছে খুলে বলুন ঔষধ সেবন করে দ্রুত সুস্থ্য হোউন।

সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ভালো মিল থাকার পাশাপাশি দরকার নিয়মিত যৌনমিলন । সবাই চায় কিন্তু প্রায়ই দেখা যায় যৌন সমস্যার কারনে সংসারে অশান্তি বা অনেক সময় ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায় । সাংসারিক ঝামেলা এড়াতে আগে থেকে সতর্ক হওয়া জরুরী । অনেকেই আছেন যারা নিজেদের যৌন জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনিয়মিত দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ বাজে খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি কারণে যৌন সমস্যা দেখা দিতে পারে । সবার মধ্যেই কৌতুহল থাকে প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে যৌন ক্ষমতা বাড়ানো যায় তার সংসার জীবন সুখময় করে তুলবে সেক্স বৃদ্ধি করার জন্য আপনার নিয়মিত খাবার খেতে হবে নিয়মিত এই খাদ্য গুলির খেলে আপনার যৌন শক্তি বৃদ্ধি পাবে আজকে সেক্স পাওয়ার বাড়ানোর খাদ্য গুলি আলোচনা করা হলোঃ

সেক্স বাড়ানোর প্রাকৃতিক উপায়

আজকাল যৌনজীবন নিয়ে প্রায় 10 জনের মধ্যে সাতজনই চিন্তিত থাকেন। অনেক পুরুষ আছেন যারা ইরেকটাইল ডিসফাংশন এ ভোগেন। যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য কলিকাতা হারবাল দিচ্ছে আপনাকে সেরা কিছু টিপস নিচে সেগুলো দেখে নিন।

যৌন ক্ষমতা বাড়াতে মধুর ভূমিকাঃ

যৌন অক্ষমতার সমাধানের জন্য মধুর গুণের কথা আমরা সবাই জানি।  মধুতে রয়েছে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ যাতে যৌন হরমোন দ্রুত কাজ করে।  এছাড়া নিয়ম করে মধু খেলে পাকস্থলীপরিষ্কার হয়,  মস্তিষ্ক অতিরিক্ত শক্তি লাভ করে,  শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে,  প্রস্রাব স্বাভাবিক হয়,  গ্যাসের সমস্যা দূর হয় এবং খিদে বাড়ায়।  এছাড়া প্যারালাইসিসে আক্রান্ত রোগীর জন্য মধু খুব উপকারী।  যৌন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে । যৌনশক্তি বৃদ্ধিতে খাঁটি কালোজিরা ফুলের মধু বিশেষ উপকারী।

যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুধঃ 

দীর্ঘ সময় যৌন ক্ষমতা অটুট রাখতে দুধের ভূমিকা অপরিসীম। দুধের প্রাণিজ যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। প্রানিজ ফ্যাট শরীরের সেক্স হরমোন বৃদ্ধি করে।  খাঁটি দুধের শুষ্কতা দূর করে দ্রুত খাবার হজম হয় । রতি শক্তি সৃষ্টি করে এবং বীর্য উৎপাদন করে দেহের অপ্রয়োজনীয় দূষিত পদার্থ বের করে দেয় এবং মস্তিষ্ক শক্তিশালী করে।  দুধ ছাড়া দুধের সর, মাখন ইত্যাদি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।যৌন ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ খাওয়া  উচিত । 

নিয়মিত কলা খেতে হবেঃ

নিয়মিত কলা খেলে আপনার যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। কলার মধ্যে আছে ভিটামিন এ, বি, সি,পটাশিয়াম ও শর্করা। শুধু  বাড়ায় না যৌন ইচ্ছা তীব্র করতেও কাজে দেয়। কলা মানবদেহে যৌনরস উৎপাদন বাড়ায়। কলা খেলে দেহের শক্তি বাড়ে এতে আপনি সঙ্গীর সাথে দীর্ঘ সময় যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারবেন। 

আরো পড়ুন – কলার কিছু অসাধারণ উপকারিতা

ডিম খাওয়ার উপকারিতাঃ

ডিমের উপকারিতা কে না জানে? সেক্স পাওয়ার বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার হলো ডিম। ডিমের প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি-5 ও ভিটামিন বি-6 আছে যার শরীরে হরমোনের মাত্রা ঠিক রাখতে এবং মেন্টাল স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। সুতরাং সেদ্ধ হোক বা ভাজা প্রতিদিনের সকালের নাস্তায় একটি করে ডিম খাবেন। ডিম খেলে আপনার শরীর শক্তি পাবে আপনি সহজে ক্লান্ত হবেন না এবং যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

যৌন ক্ষমতা বাড়াতে মাংস ও কলিজাঃ 

সবজি বা ফলের চেয়ে অনেকেই মাংস বেশি পছন্দ করেন। খাবারে নানা রকমের সবজি ও সালাদের সাথে প্রোটিন এর জন্য নিয়মিত মাংস খেতে হবে। চর্বি ছাড়া মাংস খাওয়া মানেই সুস্বাস্থ্যের দিকে একধাপ এগিয়ে যাওয়া। মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে পেশীর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রোটিন শরীরে অন্যান্য অঙ্গের মতো যৌনাঙ্গে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। সেক্স লাইফ ভাল রাখতে কলিজার গুরুত্ব অপরিসীম কলিজায় প্রচুর পরিমাণে জিংক থাকে যা শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়ায়। তাই যৌন ক্ষমতা বাড়াতে তালিকায় যোগ করতে পারেন কলিজা ও গরুর মাংস।

চকলেট খাওয়ার উপকারিতাঃ

চকলেট খেতে ভালোবাসেন? তাহলে জেনে রাখুন চকলেট খাওয়ার ফলে যৌন ইচ্ছা যৌন ক্ষমতা বাড়ে। চকলেটে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফেনিলেথ্যালামাইন যা শরীরে বাড়তি যৌন উদ্দীপনা তৈরী করে। চকলেট শরীরের চেয়ে মনের উপর বেশি প্রভাব ফেলে যা কামশক্তি বাড়া। গবেষণায় দেখা গেছে যারা অল্প হলেও চকলেট খায় তাদের যৌন ক্ষমতা অন্যদের তুলনায় বেশি। চকলেট খেলে সঙ্গীর প্রতি আকর্ষণবোধও বেড়ে যায়। এছাড়াও ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে তাই সেক্স করার আগে চকলেট খেতে ভুলবেন না যেন।

যৌন ক্ষমতা ঠিক রাখতে রঙিন ফলমূলঃ

স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং তারুণ্য ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মৌসুমী ও রঙিন ফল যেমন আঙ্গুর, আপেল, কমলা লেবু, তরমুজ ইত্যাদি খেতে হবে। তাজা ফলমূল যৌবন ধরে রাখতে ও যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপকারী। এছাড়া প্রতিদিন বিকালে চার থেকে পাঁচটি খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন। খেজুরের কিন্তু গুণের শেষ নেই। এই ফল বলদায়ক ও শক্তি বৃদ্ধিতে দুর্দান্ত কাজ করে। শুকনা খেজুর অথবা যেকোনো ধরনের খেজুর খেলে আপনি উপকৃত হবেন। মাখনের সাথে খেজুর মিলিয়ে খেলে যৌন শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেজুর দেহের শিরা কোমল করে এবং মেয়েদের মধ্যে যৌন আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করে।

টাটকা শাক নানান সবজিঃ

কলিকাতা হারবালের গবেষকরা জানিয়েছেন শরীরে রক্ত চলাচল বাড়লে যৌন উদ্দীপনাও বাড়ে। তরতাজা ও ফরমালিন মুক্ত শাক শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায় যা শরীরে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে। এছাড়া বিভিন্ন রকম শাক, ব্রকলি, লেটুস, ফুলকপি, বাঁধাকপি এগুলোতে রয়েছে ফলে ভিটামিন বি সহ অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া মিষ্টি আলু খুব ভালো একটি সেক্সফুড। এটি নারীদের যোনি এবং ইউটেরাসের আকার ভালো  রাখে। তাছাড়া এটা সেক্স হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। এগুলোর পাশাপাশি প্রতিদিন গাজর খাবেন। গাজরে ভিটামিন এ আছে যা পুরুষের হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। .১৫০গ্রাম গাজর কুচি, ১ টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে যৌন অক্ষমতা দূর হবে এবং সেক্স পাওয়ার বাড়বে। আর প্রাকৃতিক উপায় জননাঙ্গের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে প্রতিদিন সালাদের সঙ্গে বিট খেতে হবে। বিট খাওয়ার ফলে রক্তের সঙ্গে বিশুদ্ধ অক্সিজেন জননাঙ্গে প্রবেশ করে যৌন শক্তি বৃদ্ধি করবে।

কলিকাতা হারবাল চিকিৎসাঃ

হারবাল চিকিৎসা নিয়ে আমাদের অনেকেরই ভুল ধারণা আছে। রোগবালাইয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে অনেকেই হারবাল বা প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। চিকিৎসা বিজ্ঞানেও ভেষজ বা উদ্ভিজ্জ প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার সুপ্রাচীন কালের। কিন্তু প্রচলিত হারবাল পণ্য কি বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তৈরি ওষুধের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়?

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, বিশ্বের ৮০ শতাংশ মানুষ রোগবালাইয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে নানা ধরনের হারবাল বা প্রাকৃতিক ওষুধ ব্যবহার করে থাকে। শুধু তা–ই নয়, পশ্চিমা বিশ্বেও ‘ওভার দ্য কাউন্টার মেডিসিন’ হিসেবে জনপ্রিয় এই অলটারনেটিভ বা হারবাল পণ্যগুলো। যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ শতাংশ মানুষ নিয়মিত নানা শারীরিক সমস্যায় হারবাল ওষুধ ব্যবহার করে।

চিকিৎসা বিজ্ঞানে ভেষজ বা উদ্ভিজ্জ প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার আজকের নয়। সুপ্রাচীনকাল থেকেই নানা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহৃত হয়ে আসছে ওষুধে। আমাদের দেশেও হারবাল  চিকিৎসায় দীর্ঘ ২১ বছর ধরে কর্তৃত্ব করছে কলিকাতা হারবাল। কলিকাতা হারবাল সকল রোগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ এবং দক্ষ বিশেষজ্ঞ দল দ্বারা প্রাকৃতিক ও ভেষজ উপায় মানুষের চিকিৎসা করে আসছেন। বর্তমানে বাংলাদেশ হারবাল চিকিৎসার একটি অনন্য নাম কলিকাতা হারবাল। হারবাল চিকিৎসা নিন, নিজে সুস্থ থাকুন, অন্যকে সুস্থ রাখুন। 

Leave a comment