আসসালামু আলাইকুম কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
আপনি কি কলা খেতে ভালবাসেন? যদি বাসেন তবে এই লেখা পড়ার পর আপনার ভালবাসা আরো বেড়ে যাবে। আর যদি না বাসেন, তাহলে ভালবাসতে শুরু করবেন কিনা জানি না, তবে হ্যাঁ, কলার প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে বাধ্য। আজ তাহলে জেনে নিন কলার বহুগুণ-
জেনে নিন কলার কিছু উপকারিতাঃ
অবসাদ–
কলার মধ্যে থাকা tryptophan প্রোটিন মানুষের শরীরে পরিণত করে সিরোটোনিন হরমোনে। সিরোটোনিন হরমোন অফ হ্যাপিনেস নামে পরিচিত। শরীরে এই হরমোনের মাত্রা বাড়লে মুড ভাল হয়ে রিল্যাক্স বোধ করে মানুষ। কলার মধ্যে থাকে বি৬ ভিটামি যা শরীরে গ্লুকোজের সামঞ্জস্য বজায় রেখে মুড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
অ্যানিমিয়া–
কলার মধ্যে থাকা প্রচুর পরিমান আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিন উত্পাদনে সাহায্য করে। ফলে অ্যামিনিয়ার সম্ভবনা কমে। এমন কী, অ্যামিনিয়া সারাতেও সাহায্য করে কলা।
রক্তচাপ–
কলার মধ্যে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি অথচ লবণের মাত্রা কম থাকায় উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দমাতে পারে কলা। ইউ ফুড ও ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কলার এই গুণের কথা মাথায় রেখে স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধে কলার ব্যবহার সুপারিশ করেছে।
কনসটিপেশন–
কলার মধ্যে প্রচুর আঁশ(fiber) থাকায় পেট পরিষ্কার রাখতে কলা অপরিহার্য্য।
মশার কামড়–
মশার অথবা পোকার কামড়ের ফলে ফুলে, লাল হয়ে ওঠা ত্বকের যত্ন নিতে ক্রিম বা অ্যান্টিসেপটিক ব্যবহার করার আগে কলার খোসা ঘষে দেখুন ত্বকের ফুলে ওঠা অংশে।
স্নায়ু–
কলা মানসিক চাপ কমাতে ফ্যাটি ফুডের থেকে বেশি কার্যকর। কার্বোহাইড্রেটে পরিপূর্ণ হওয়ায় কলা রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রেখে স্নায়বিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
আলসার–
অত্যন্ত খারাপ পেটের রোগেও কলাই একমাত্র ফল যা নির্বিঘ্নে খাওয়া যেতে পারে। কলা অস্বস্তি কমিয়ে আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।
তাপমাত্রা নিয়নন্ত্রণ–
গর্ভবতি মহিলাদের জ্বর হলে ওষুধের বদলে খাওয়ানো হয় কলা। থাইল্যান্ডে গর্ভস্থ সন্তানের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গর্ভবতী মায়েদের মধ্যে কলা খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।
আরো পড়ুন – কামরাঙ্গার উপকারিতা
আরো পড়ুন – জেনে নিন আমের ৯টি উপকারিতা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, সফল এবং কলিকাতা হারবাল চিকিৎসা গ্রহণ করুন, যা আপনার সকল জটিল শারীরিক সমস্যা সমূহকে মূল থেকে নির্মূল করে আপনাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলবে ইনশাল্লাহ।