আসসালামু আলাইকুম। কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।
ইফতারির তালিকায় খেজুর চাই-ই। রমজান মাস ছাড়াও সারা বছর এই সুস্বাদু ফলের কমবেশি চাহিদা থাকে। তবে এ ক্ষেত্রে পাকা বিদেশি খেজুরের চল বেশি। কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনো টিকে আছে দেশি খেজুর খাওয়ার রীতি। এ দুই ধরনের খেজুরের গুণাগুণে তফাত সম্পর্কে বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টি ও পথ্যবিদ শামসুন্নাহার নাহিদ বলেন, ‘বিদেশি খেজুরে যে জলীয় অংশ থাকে, সেটি অনেক বেশি শক্তিবর্ধক।
অন্যদিকে দেশি খেজুরে সুগার কম থাকে। এ ছাড়া গুণাগুণে আর তেমন কোনো পার্থক্য নেই।’ বাজারে এ দুইয়ের বাইরে শুকনো খেজুরও পাওয়া যায়। সেটিতে প্রোটিন কম থাকে বলে জানিয়েছেন শামসুন্নাহার নাহিদ।
আর প্রতিটি খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, ভিটামিন বি-৬, ফলিক অ্যাসিড, আমিষ ও শর্করা। তাই খেজুর শুধু সুস্বাদুই নয়, পুষ্টিকরও বটে৷ খেজুর খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানিয়েছেন এই পুষ্টিবিদ।
খেজুরের উপকারিতাঃ
- – ইফতারে যাঁরা শরবত খান না, তাঁরা কয়েকটি খেজুর খেয়ে এর চেয়েও বেশি শক্তি গ্রহণ করতে পারেন।
- – খেজুর হৃৎপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। রক্তপ্রবাহে গতি সঞ্চার করে।
- – অল্প কয়েকটা খেজুর খেলে ক্ষুধার তীব্রতা কমে যায়। এই ফল পাকস্থলীকে কম খাবার গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করে। অন্যদিকে শরীরের প্রয়োজনীয় শর্করার ঘাটতি পূরণ করে দেয়। ফলে মুটিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
- – ক্যালসিয়াম হাড় গঠনে সহায়ক। আর খেজুরে আছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম, যা হাড়কে মজবুত করে।
- – খেজুরে আছে এমন সব পুষ্টিগুণ, যা খাদ্য পরিপাকে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।
- – খেজুর ডি-হাইড্রেশন রোধ করে।
- – শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সমতা রক্ষা করে।
খেজুরের অপকারিতা- যাঁদের জন্য ক্ষতিকর
যাঁদের ডায়াবেটিস এবং শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি রয়েছে, তাঁদের বেলায় পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে খেজুর খাওয়া উচিত।
আরো পড়ুন – পেঁপের উপকারিতা
আরো পড়ুন – মধুর উপকারিতা
আরো পড়ুন – মিষ্টি কুমড়ার বিচির উপকারিতা
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন, সফল এবং কলিকাতা হারবাল চিকিৎসা গ্রহণ করুন, যা আপনার সকল জটিল শারীরিক সমস্যা সমূহকে মূল থেকে নির্মূল করে আপনাকে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলবে ইনশাল্লাহ।