ফল/সবজি

আসসালামু আলাইকুম কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান

বাংলাদেশে কামরাঙার রস দিয়ে বানানো শরবত বানান অনেকেই। আর স্কুল-কলেজের সামনে তেল-ঝাল দিয়ে মাখা কামরাঙা তো বেশ জনপ্রিয়। ভিটামিন এ ও সির সবচেয়ে ভালো উৎসগুলোর একটি হলো কামরাঙা। ফলটি পাকার পরই খেতে সবচেয়ে ভালো। তবে বেশি পেকে গেলে স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। কামরাঙা দেশে দেশে নানাভাবে খাওয়া হয়। এই দক্ষিণ এশিয়াতেই কিন্তু চিনি দিয়ে রান্না করে কামরাঙা খাওয়ার চল আছে। চীনে আবার মাছ দিয়েও রান্না করা হয়। অস্ট্রেলিয়ায় রান্না হয় সবজি হিসেবে। জ্যামাইকায় কামরাঙা শুকিয়ে খাওয়ার চল আছে।

ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো বলেন, ‘কামরাঙা অত্যন্ত উপকারী ফল হলেও কিডনি রোগীদের জন্য এটি কখনো বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কিডনি রোগী ছাড়া সবাই খেতে পারবেন কামরাঙা। এটি ধরনের রোগ প্রতিরোধেও অংশ নেয়। শর্করা ৬.৭৩ গ্রাম, চিনি ৩.৯৮ গ্রাম, খাদ্য ফাইবার ২.৮ গ্রাম, স্নেহ ০.৩৩ গ্রাম, প্রোটিন ১.০৪ গ্রাম, ভিটামিন সি ৩৪.৪ মিলিগ্রাম ছাড়াও কামরাঙায় পাওয়া যায় ভিটামিন এ, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক। এবার কামরাঙার পূর্ণ কাহন জেনে নেওয়া যাক।

মাথাব্যথা কিংবা হাড়ের সংযোগস্থলের ব্যথা উপশমেও কামরাঙার জুড়ি নেই। নিয়মিত কামরাঙা খেলে এগুলো সহজেই এড়ানো যায়।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, কামরাঙার শরীরের জন্য ভালো কোলেস্টেরল এইচডিএলের মাত্রা বাড়াতে সক্ষম, অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএলের মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। তাই কামরাঙা খান নিয়মিত। 

Leave a comment