ফল/সবজি

আসসালামু আলাইকুম কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।

তেলাকুচো পাতা এবং ফল ঐতিহ্যবাহী ওষুধু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ফল এবং পাতার রস কুষ্ট, জ্বর, অ্যাসমা, ব্রঙ্কাইটিস এবং জন্ডিস রোগের ওষুধু হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আজ আপনাদের জানাবো এই অসাধারণ পাতার উপকারিতা সম্পর্কে।

স্বাদের পাশাপাশি তেলাকুচো অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। বিশেষ করে ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ। একশো গ্রাম তেলাকুচো য়  ১.৪ মিলি গ্রাম আয়রন, ০.০৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি২ (রিবোফ্লোবিন), ০.০৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ (থায়ামিন), ১.৬ গ্রাম আঁশ এবং ৪০ মিলি গ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। তেলাকুচো ভিটামিন এ এবং সি সমৃদ্ধ। তাছাড়া প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেই এর উপকারিতা সম্পর্কে–

তেলাকুচার উপকারিতাঃ

স্নায়ুতন্ত্র রক্ষা: ভিটামিন বি২ পানিতে দ্রবণীয়, কিন্তু এটি শরীরে জমা থাকে না। ফলে প্রতিদিন ভিটামিন বি২ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তেলাকুচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ভিটামিন বি২ থাকে। পাশাপাশি এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় তেলাকুঁচো স্নায়ুবিক দূর্বলতা দূর করে।

পরিপাকক্রিয়া সহজ হয়: থায়ামিন কার্বহাইড্রেট গ্লুকোজে পরিণত করতে সাহায্য করে। যেহেতু তেলাকুচোয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ থায়ামিন থাকে, তাই এটি পরিপাক সহায়ক। এটি প্রোটিন এবং চর্বি ভাঙতেও সহযোগিতা করে।

পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে: তেলাকুচো ফল এবং পাতায় প্রচুর আঁশ থাকাতে তা পরিপাকতন্ত্র ভালো রাখে, মল বাড়ে এবং সফট হয়। ফলে গ্যাস্ট্রিক এবং আলসারজনিত সমস্যা কাটে।

বৃক্ক বা মূত্রথলিতে (কিডনিতেপাথর জমতে দেয় না: গবেষণায় দেখা গেছে কৃত্রিম ক্যালশিয়ামের পাশাপাশি প্রাকৃতির উৎস হতে প্রাপ্ত ক্যালশিয়াসমও পাথর হিসেবে জমতে পারে। দেখা গেছে, তেলাকুচোয় যে ক্যালশিয়াম থাকে তা পাথর হিসেবে জমে না।

ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে রাখতে: বেঙ্গালোরের একদল ডাক্তার গবেষণা করে বের করেছেন, এটি ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রেণে রাখতে সমর্থ। তেলাকুচা প্রাকৃতিক ইনসুলিন হিসেবে কাজ করে।

One thought on “তেলাকুচার উপকারিতা – ৫টি রোগের মহৌষধ

Leave a comment