স্বাস্থ্য বিষয়

আসসালামু আলাইকুম কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান

পাইলস বা অর্শ হলো মলদ্বারে এক ধরনের রোগ যেখানে রক্তনালীগুলো  বড় হয়ে গিয়ে ভাসকুলার কুশন তৈরি করে।

পাইলস কেন হয়, হলে কীভাবে বুঝবেন, কী করবেন, সংশ্লিষ্ট একাধিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আজ এ বিষয়ে আলোচনা করা হলো।

পাইলস কেন হয়? 

১. দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য বা ডায়রিয়া

২. শরীরের অতিরিক্ত ওজন

৩. গর্ভাবস্থা

৪. লিভার সিরোসিস

৫. মল ত্যাগে বেশী চাপ দেয়া

৬. টয়লেটে বেশী সময় ব্যয় করা

৭. বৃদ্ধ বয়স

৮. পরিবারে কারও পাইলস থাকা

৯. পায়ুপথে যৌনমিলনে অভ্যস্ততা

১০. গর্ভাবস্থার শেষের দিকে অনেকের পাইলস রোগটি দেখা দেয়। শিশুর গ্রোথের সঙ্গে মলদ্বারে চাপ পড়লে নারীর পাইলস হতে পারে।

আরো পড়ুন – পাইলস এর ঘরোয়া চিকিৎসা

পাইলসের লক্ষণসমূহ:

i) মলদ্বারের অভ্যন্তরে হলে নিচের লক্ষণগুলো দেখা যেতে পারেঃ

১. পায়খানার সময় ব্যথাহীন রক্তপাত হওয়া

২. মলদ্বারের ফোলা বাইরে বের হয়ে আসতে পারে, নাও পারে। যদি বের হয় তবে তা নিজেই ভেতরে চলে যায় অথবা হাত দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। কখনও কখনও এমনও হতে পারে যে, বাইরে বের হওয়ার পর তা আর ভেতরে প্রবেশ করানো যায় না বা ভেতরে প্রবেশ করানো গেলেও তা আবার বের হয়ে আসে

৩. মলদ্বারে জ্বালাপোড়া, যন্ত্রণা বা চুলকানি হওয়া

৪. কোন কোন ক্ষেত্রে মলদ্বারে ব্যথাও হতে পারে

পাইলস রোগে করণীয়? 

১. কোষ্ঠকাঠিন্য যেন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা এবং নিয়মিত মলত্যাগ করা

২. সহনীয় মাত্রার অধিক পরিশ্রম না করা

৩. প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো

৪. শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করা

৫. টয়লেটে অধিক সময় ব্যয় না করা

৬. সহজে হজম হয় এমন খাবার গ্রহণ করা

৭. মল ত্যাগে বেশি চাপ না দেওয়া

৯. দীর্ঘমেয়াদী ডায়রিয়া থাকলে তার চিকিৎসা নেয়া

পাইলস রোগে গ্রহণীয় কিছু খাবার:

শাকসবজি, ফলমূল, সব ধরণের ডাল, সালাদ, দধি, পনির, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, লেবু ও এ জাতীয় টক ফল, পাকা পেপে, বেল, আপেল, কমলা, খেজুর, ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, ভূসিযুক্ত (ঢেঁকি ছাঁটা) চাল ও আটা ইত্যাদি। 

Leave a comment