স্বাস্থ্য বিষয়

ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বর হওয়া খুবই সাধারণ একটি বিষয়। সাধারণত ঠান্ডা লাগা বা সর্দিজ্বরের বেশকিছু সাধারণ উপসর্গ থাকে যেগুলো শিশু ও প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে একইরকম হয়ে থাকে।

ঠান্ডা বা সর্দির লক্ষন ও থেকে দ্রুত সেরে উঠার কিছু ঘরোয়া উপায় ঠান্ডা বা সর্দির লক্ষন:-

• নাক বন্ধ হওয়া, সর্দি থাকা

• গলা ব্যাথা

• মাথা ব্যাথা

• মাংসপেশীতে ব্যাথা

• কাশি

• হাঁচি

• জ্বর

• স্বাদ ও ঘ্রাণের অনুভূতি কমে যাওয়া

আরো পড়ুন: জ্বর কমানোর ঘরোয় উপায় জানুন। 

ঠান্ডা বা সর্দি থেকে দ্রুত সেরে উঠার কিছু ঘরোয়া উপায় :

গরম পানির ভাপ– এটি আমার দেখা সবচাইতে কার্যকর পদ্ধতি। ভাপ নেয়ার কিছুক্ষণ পর থেকেই কফ বের হতে শুরু করে। যাদের অল্পতেই বুকে কফ জমে যায় তারা এই ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করে দেখতে পারেন, ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। তবে ব্যবহারের পদ্ধতি হচ্ছে ফুটন্ত গরম পানি ফ্লাস্কে নিয়ে পাইপ এর সাহায্যে মুখ দিয়ে ধোয়া টানতে হবে৷ এতে গরম জলীয়বাষ্প সরাসরি ফুসফুসে প্রবেশ করে কফ বের করে দিতে সাহায্য করবে। আর যাদের নাকে সর্দি লেগে থাকে তারা সরাসরি ভাপ নাক দিয়ে টেনে নেবে, এতে সর্দি পাতলা হয়ে ঝড়ে পরার পাশাপাশি ঠান্ডা জনিত মাথা ব্যথা থাকলে সেটাও কমে যাবে।

কালোজিরা– কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের মহৌষধ। কালোজিরা মানুষের ইমিউন সিস্টেমকে বুষ্টআপ করে রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।

তুলসিপাতা– তুলসি পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তুলসি পাতা ও মধু ঠান্ডা কমাতে দারুন কার্যকর। তবে যারা সরাসরি তুলসি পাতা খেতে পারেন না, তারা রং চায়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।

বাসকপাতা– বাসক পাতা ঠান্ডার জন্য আদিকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। বাসক পাতার রস ও মধুর মিশ্রন ঠান্ডায় বেশ উপকারী।

কাঁচাহলুদ ও দুধ– এক গ্লাস দুধে আধ থেকে এক ইঞ্চি মতো খোসা ছড়ানো কাঁচা হলুদ যোগ করুন। কাঁচা হলুদ কুচি করে নিলে বেশি ভালো হয়। এর পর হলুদ মিশ্রিত দুধ গরম করুন। গরম করা দুধে হলুদ যোগ করলেও কোনো সমস্যা নেই। রাতে ঘুমানোর আগে দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যান। খুব তাড়াতাড়ি উপকার পাবেন। হলুদ যুক্ত দুধ কে সোনালী দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক বলা হয়।

আদা– আদা খেলে নাকি আধা রোগ ভালো হয়ে যায়! সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি সর্দি লাগলেই আদা, লং আর লেবু খেতে দেয়া হতো।

মধু ও গোলমরিচ– তিন চারটে গোল মরিচের ডানা অল্প থেঁতো করে নিয়ে দুই কাপ দিন মতো জলে দিন। তারপর ফুটিয়ে নিন। এবার জল ছেঁকে নিয়ে তাতে এক দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। তারপর আস্তে আস্তে সেবন করুন। এতে শরীর গরম থাকবে, ঠান্ডা লাগা আরো বেড়ে যাবেনা। সর্দি থেকে আরাম পাবেন। রাতের খাবার খাওয়ার পর মধু খেয়ে ঘুমাবেন না, এতে পেট খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

আরো পড়ুন – জেনে নিন মধুর উপকারিতা

আরো পড়ুন – ইউরিন ইনফেকশন এর কারণ লক্ষণ ও প্রতিকারের উপায়

বি:দ্র: আপনার কষ্টার্জিত অর্থ বিনষ্ট। না হওয়ার আগেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন। ভালভাবে ডা: চেম্বার, ডা: এর শিক্ষাগত যোগ্যতা যাচাই বাচাই করে চিকিৎসা নিবেন। ফেইসবুকে বা অসত্য প্রচারনা থেকে এড়িয়ে চলুন। কলিকাতা হারবাল মোঃ পুর বাস স্টান্ড আল্লাহ করিম মসজিদ মার্কেট দ্বিতীয় তলা মোঃ পুর ঢাকা , 01763663333 /ইমুনাম্বার 01716064303

Leave a comment