ফুলের উপকারিতা

আসসালামু আলাইকুম। কলিকাতা হারবাল এর পক্ষ থেকে আমি ডাক্তার মোঃ মাহাবুবুর রহমান।

আমাদের দেশে গোলাপী, সাদা, লাল, হলুদ ইত্যাদি নানা রংয়ের জবা ফুল পাওয়া যায়। জবার  ফুলের  উপকারিতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লাল জবা আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে জবা ফুলের কিছু ব্যবহার।

১। চুলের বৃদ্ধির জন্য :- জবা গাছের টাটকা পাতার রস এবং জলপাই-এর তেল মিশিয়ে ভালাে ভাবে ফোটাতে হবে। রস তেলের মধ্যে মিশে কেবল যখন তেলটা থাকবে তখন উনুন থেকে পাত্রটি নামিয়ে ঠাণ্ডা হলে কাচের শিশিতে রাখতে হবে। এই তেল প্রতিদিন চুলে মাখলে চুল বড় হবে এবং চুল সহজে পাকে না।।

২। পাকা চুল কালাে করতে :- গরুর দুধ ৪ লিটার, জবাফুল বেটে তার রস, যষ্টিমধুর। কল্ক ৯০ গ্রাম একটি স্টিলের পাত্রে ১ লিটার তেলের সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর আগুনে ফোটাতে হয়। দুধ ও ফুলের রস মিশে গেলে পাত্রটি উনুন থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে। তারপর কাঁচের শিশিতে ভরে রাখতে হবে। এই তেল প্রতিদিন চুলে। মাখলে পাকা চুল ধীরে ধীরে কালাে হয়ে ওঠে। |

৩| অতিরিক্ত ঋতুস্রাবে :- জবাফুল ৫/৭টি সামান্য গাওয়া ঘিয়ে ভেজে খেলে— অতিরিক্ত ঋতুস্রাব বন্ধ হবে। এছাড়া পঞ্চমুখী জবার দু’টি কুঁড়ি ঢেকি ছাঁটা আতপ চাল ধােয়া জলে বেটে সেই ওষুধ খেলে ঋতুস্রাব স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে।

৪। অনিয়মিত স্রাবে :- মেয়েদের মাসিক শুরু হলেও এক থেকে দেড়দিনের মধ্যে। বন্ধ হয়ে যায়। আবার অনেক সময় মাসিক-এর দিন চলে গেলে ঠিকমতাে হয় না। এই অবস্থায় পঞ্চমুখী জবার কুঁড়ি, দারুচিনি ৫০০ মিলিগ্রাম একসঙ্গে শিলে ভালাে করে। মিহি করে বাটতে হয়। তারপর ঐ ওষুধ সরবতের মতাে দিনে একবার নিয়মিত খেলেই। মেয়েদের স্রাব স্বাভাবিকভাবে হতে থাকবে। 

আরো পড়ুন – পে‌পারো‌মিয়া গাছের উপকারিতা

আরো পড়ুন – তুলসী পাতার উপকারিতা ও গুনাগুন

Leave a comment