স্বাস্থ্য বিষয়

আমাদের দেশে নাক-কান-গলার সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঠান্ডার কারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে দেখা দেয়। কিন্তু ঠান্ডাজনিত সমস্যা ছাড়াও নাক-কান-গলার আরও অনেক জটিল অসুখ হতে পারে, সেগুলো সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি।

নাকের সমস্যাঃ

নাকের  সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে নাকের হাড় বাঁকা, নাকের ভেতর মাংস বৃদ্ধি, সাইনাস প্রভৃতি। এ ছাড়া নাকে ক্যানসার ও টিউমারের মতো সমস্যাও  হয়ে থাকে।

সাইনাসঃ
সাইনাসের আসলে কোনো কাজ নেই। কেন যে এটা মানুষের শরীরে আছে সেটা আমরা জানি না। গবেষকরা অনেক মাথা ঘামিয়েও এর কোনো সমাধানে আসতে পারেননি। তবে এটা হলো আমাদের নাকের চার দিকে কিছু বায়ু প্রকোষ্ঠ থাকে যেগুলোর মধ্যে একটা ঝিল্লি থাকে। যেই ঝিল্লি নাকের সঙ্গে সংযুক্ত। তাই নাকের কোনো সমস্যা হলে এটা অনেক ক্ষেত্রে সাইনাসের দিকে চলে যায়। তাই দেখা যায়, নাকে যাদের সমস্যা রয়েছে তাদের কিছু কিছু ক্ষেত্রে সাইনাসের সমস্যা হয়। নাকের এবং সাইনাসের সমস্যাকে সাধারণত আমরা আলাদা করতে পারি না। সাইনাসগুলোর কাজের ক্ষেত্রে অনেকে বলে, এটা মাথাকে হালকা করে। অনেকে বলে, এটা তাপ প্রতিরোধে কাজ করে। এর সমস্যা খুব প্রচলিত এবং কষ্টদায়ক। আমাদের ঢাকা শহরে এখন যে রকম দূষণ, এর থেকে এই সমস্যা অনেকটাই হয়। আমরা যে রোগীগুলো পাই, এর মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ নাক সম্পর্কিত সমস্যা নিয়ে আসে। যাদের নাকে সমস্যা থাকে তাদের অনেকেই দেখা যায় রোগটা সাইনাসের দিকে চলে যায়।

নাকের হাড় বাঁকাঃ

আমাদের নাকের পর্দা বা পার্টিশন কয়েকটি হাড় এবং কার্টিলেজের সমন্বয়ে গঠিত। সামনের যে অংশটা নরম, তাকে আমরা সেপটাল কার্টিলেজ বলে থাকি। এর পেছনে থাকে পারপেনডিকুলার প্লেট অব ইথময়েড ও ভোমার। নিচে থাকে ম্যাক্সিলারি ক্রেস্ট। এ স্ট্রাকচারের এক বা বেশি সমস্যা হলে বা বেঁকে গেলে সাধারণ ভাষায় একে ডিএনএস বলা হয়।

নাকের হাড় বাঁকা হলে যে সমস্যা গুলোর সম্মুখীন হতে হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সমস্যা গুলো হলোঃ

১, অনেক সময় গলার স্বর বসে যেতে পারে বা খুসখুসে কাশি হতে পারে।

২, প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত রোগীর নাক বন্ধ থাকার সমস্যা দেখা দেয়। ধীরে ধীরে দুদিকের নাকই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় নাক দিয়ে সর্দি ঝরে, নাকে গন্ধ ঠিকমতো পাওয়া যায় না বা অনেক সময় দুর্গন্ধ তৈরি হয়।
৩, মাথা ভার ভার থাকা। অনেক সময় মাথার সামনের দিকে নাকের ওপরে অথবা ঘাড়ের পেছনে ব্যথা করে। ইনফেকশন একিউট হলে অনেক সময় প্রচণ্ড মাথাব্যথা বা জ্বর হতে পারে।

৪, নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার জন্য রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়, নাকের পেছন দিক দিয়ে প্রদাহ হয়ে যাওয়ার ফলে ঘন ঘন গলা পরিষ্কার করার প্রবণতা দেখা যায়।

৫, নাকের পেছনে ইউস্টেশিয়ান টিউব ঠিকমতো কাজ না করার জন্য কানের ভেতরে পর্দার অপরপাশে পানি জমে যাওয়া, কানে কম শোনা, কানে ব্যথা এবং ইনফেকশন হওয়া এমনকি কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।

আরো পড়ুন – মধু খাওয়ার উপকারিতা

গলার সমস্যাঃ

গলার সমস্যার মধ্যে আছে টনসিল, যেটি ছোট বাচ্চাদের অনেক বেশি হয়। শিশু আর বৃদ্ধদের গলায় খাবার বা অন্য কিছু আটকে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। নারীদের ফ্যারিঞ্জাইটিস নামের গলার সংক্রমণ বেশি হয়ে থাকে। এগুলো খুবই সাধারণ কিছু গলার অসুখ। এ ছাড়া অনেক সময় হঠাৎ করে গলায় ব্যথা হয়, খাবার গিলতে সমস্যা হয়। এগুলো সাধারনত গলার কোনো ইনফেকশন বা গলা বা খাদ্যনালিতে টিউমারের লক্ষণ।

ফ্যারিঞ্জাইটিসঃ
ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের দ্বারা রোগ-সংক্রমণের কারণে গলার পেছনের দিকে অর্থাৎ গলবিলের (Pharynx) সংক্রমণকেই মূলত ফ্যারিঞ্জাইটিস(Pharyngitis) নামক এক প্রকার গলার রোগ হয়ে থাকে। ফ্যারিঞ্জাইটিস (Pharyngitis) খুব যন্ত্রণাদায়ক একটি সমস্যা, বিশেষ করে এই সমস্যায় আক্রান্ত হলে আপনি যখন ঢোক গিলতে যাবেন সে সময় ভীষণ কষ্ট হতে পারে অনেক সময়। কাশি, মাথাব্যথা, কর্কশ কণ্ঠ, সর্দি পড়া, গলবিল লাল হয়ে যাওয়া, লসিকাগ্রন্থিগুলির ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হওয়া। সাধারণত ৩ থেকে ৫ দিন এই উপসর্গগুলি অব্যাহত থাকে।

টনসিলের ইনফেকশনঃ
সবচেয়ে পরিচিত এই টনসিলের সমস্যা। এটি মূলত শিশুদের সমস্যা। বড়দেরও হয়। টনসিলের সমস্যায় গলাব্যথা, খেতে গেলে ব্যথা, সামান্য জ্বর ইত্যাদি থাকে। প্রথমত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বারবার হতে থাকলে সম্যক জটিলতা ও কষ্টের কথা বিবেচনা করে টনসিল অপারেশন করিয়ে নিতে হয়। সারা পৃথিবীতে শিশুদের যত হারবাল চিকিৎসা হয় তারমধ্যে টনসিলের হারবাল চিকিৎসার অবস্থান সবার শীর্ষে।

ভোকাল কর্ডে পলিপঃ
এটি শ্বাসতন্ত্রের অন্তর্গত সমস্যা। গলায় স্বর তৈরির স্থানটি হচ্ছে ল্যারিংস। সেখানেই থাকে ভোকাল কর্ড। কর্ড দুটির কাঁপুনিতেই সৃষ্টি হয় শব্দ। ভোকাল কর্ড বেশি ব্যবহৃত হলে এবং ল্যারিংসে ইনফেকশন হলে গলার স্বর ভেঙ্গে যায়। স্বরভঙ্গের প্রথম চিকিৎসা হচ্ছে ৭-১০দিন কথা বলা সম্পূর্ণ রূপে বন্ধ করে দেয়া। স্বরের পরিমিত বিশ্রামের অভাবে গলা ভাঙ্গলে ভোকাল কর্ডে দানার মতো দেখা দেয়। যাকে বলা হয় ভোকাল কর্ড। স্বর ব্যবহারকারী যেমন- সঙ্গীত শিল্পী , শিক্ষক এদের ভোকালকর্ডে পলিপ বেশি দেখা দেয়। পলিপ হলে হারবাল চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই।

গলায় ক্যান্সারঃ
এ ক্ষেত্রে ল্যারিংসের ক্যান্সারকেই বোঝানো হয়েছে। খাদ্যনালীর ক্যান্সারকেও গলায় ক্যান্সার বলা যেতে পারে। ল্যারিংসের ক্যান্সার বলতে শ্বাসতন্ত্রের যেখানে থেকে স্বর তৈরি হয় সে অঞ্চলের ক্যান্সারকে বোঝায়। আর খাদ্যনালীর ক্যান্সার বলতে বোঝায় খাদ্যনালীর উপরের অংশের ক্যান্সারকে বোঝানো হয়। ল্যারিংসের ক্যান্সার হলে তাই গলার স্বর পরিবর্তন হয়ে যায়, সমস্যা তীব্র হয়ে শ্বাসনালী বন্ধ করার উপক্রম হলে শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। অন্যদিকে খাদ্যনালীর ক্যান্সারের সমস্যা শুরু হয় গলায় ব্যথা ও খেতে অসুবিধা হওয়ার মধ্য দিয়ে। সমস্যা তীব্র হলে খাদ্যনালী বন্ধের উপক্রম হলে রোগী কিছুই খেতে পারে না।

কানের সমস্যাঃ

কানের সমস্যাগুলোর মধ্যে আছে কান পাকা, কানে কম শোনা বা আঘাতজনিত সমস্যা। কানের যেকোনো সমস্যাই অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। কানের সমস্যার মধ্যে একিউট ওটাইটিস মিডিয়া বা কান পাকা অত্যন্ত খারাপ একটি সমস্যা। কানের পর্দা ফেটে গেলে বা ইনফেকশন হলে এমন হয়ে থাকে। এতে কানে ব্যথা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কান থেকে পানি বা পুঁজ বের হয়। অনেক সময় দেখা যায় কানের ইনফেকশন থেকে মস্তিষ্কেও ইনফেকশন হয়। এ ক্ষেত্রে কান পাকার সমস্যা হলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেই সঙ্গে রোগীকে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন ইনফেকশন অবস্থায় কান না খোঁচানো, গোসলের সময় কানে যাতে পানি না যায়। এভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে এ সমস্যা সার্জারি ছাড়াই সেরে যায় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

আর যদি দীর্ঘদিনের ইনফেকশন হয় বা কানের পর্দা ছেঁড়া থাকে, তখন হারবাল উপায়ে চিকিৎসা চলমান রাখতে হবে। তার আগে পরীক্ষা করে দেখতে হবে কানের ভেতরের হাড় ও টিস্যুর ক্ষয় হয়েছে কি না। যদি ক্ষয় হয় তাহলে যত দ্রুত সম্ভব হারবাল চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে। আবার দেখা যায়, অনেকের হঠাৎ করে শ্রবণশক্তি চলে যায়। ভাইরাস বা অন্য কোনো ইনফেকশন বা আঘাতজনিত কারণে এমনটি হয়। এ ক্ষেত্রেও জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। কারণ এ সমস্যা নিয়ে ৭ থেকে ১০ দিনের বেশি বসে থাকলে পরে চিকিৎসা করে কোনো লাভ হয় না।

এখন বাংলাদেশে জন্মগত বধিরতার ভালো হারবাল চিকিৎসা হচ্ছে। বধিরতার এই চিকিৎসা অল্প বয়সে করাই উত্তম। দেখা যায়, শিশু যদি কানে না শোনে তাহলে তাকে সাধারণ শিশুবিশেষজ্ঞ বা মেডিসিন স্পেশালিস্টের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। অনেকে আবার ভাবেন যে বড় হলে ঠিক হয়ে যাবে। এ বধিরতার সমস্যা বড় হলে কখনোই ঠিক হয় না, এমনকি সে সময় চিকিৎসা করেও লাভ হয় না। তাই একদম শিশু অবস্থাতেই বধিরতার চিকিৎসা করতে হবে। সাধারণত ৪০ বছর বয়সের পর আমাদের শ্রবণশক্তি কমতে শুরু করে। বৃদ্ধ বয়সে গেলে দেখা যায় অনেকে কানে ঠিকমতো শোনেন না। বৃদ্ধ বয়সের এ ধরনের বধিরতার সমস্যার জন্য চিকিৎসকেরা ‘হিয়ারিং অ্যাইড’ ব্যবহার করতে বলেন। আমাদের দেশে কানের চিকিৎসায় রোগীর ‘হারবাল চিকিৎসা ভীতি’ খুব দেখা যায়। অনেকে মনে করেন, এখানে হারবাল উপায়ে চিকিৎসা করলে শ্রবণশক্তি একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে কলিকাতা হারবাল আশ্বস্ত করে বলেন, এখন বাংলাদেশেই দক্ষ ও অভিজ্ঞ হারবাল চিকিৎসক দ্বারা স্বল্প খরচে নাক, কান ও গলার উন্নত হারবাল চিকিৎসা হচ্ছে।

প্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্তর:

 সময়টাতে অনেকেই বলেন আমার টনসিল ফুলে যাচ্ছে। এটি কেনো হয়?
আমাদের শরীরের ভেতরে অর্থাৎ টনসিল, নাসিকা, গলা এই বিভিন্ন জায়গাতে অসংখ্য ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থাকে। যখনই তাপমাত্রা কমে যায় তখন এগুলো বিকশিত হয়। এরপর ইনফেকশন তৈরি করে। সে কারণেই টনসিলাইটিসসহ নাক, কান, গলার এই সমস্যাগুলো হয়।

যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে দেখা যায়  সময়টাতে বেশি বেড়ে যায়। তাদের ক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন?

যাদের টনিক সাইনোসাইটিস আছে তাদের ক্ষেত্রে ঠাণ্ডা, ধুলাবালি এবং অ্যালার্জি প্রকোপ বেড়ে গেলে ইডিমা হয়। নাকের যে ঝিল্লি, সাইনোসাইটিসেরও একই ঝিল্লি। এটি আলাদা কিছু না। তাই আগে থেকে যদি প্রস্তুতি নেওয়া হয়, এন্টাজল জাতীয় ড্রপ নেয় তাহলে রোগী ভালো থাকতে পারবেন। আর যদি সাইনোসাইটিস হয়েই যায় সে ক্ষেত্রে বাষ্প টানতে হবে। ক্ষেত্র বিশেষে এন্টিবায়টিক খাবে। আর প্যারাসিট্যামল জাতীয় ওষধ দিনে তিনবার খেলে ব্যাথাটা একটু কম থাকবে।

টনসিলাইটিসের লক্ষণগুলো কি কি?

গলা ব্যাথা করে। রোগীর কাছে মনে হয় মাছের কাটা আটকে আছে। গলায় খোঁচা লাগে। এছাড়া বাইরে গ্রন্থি ফুলে যায়। হঠাৎ করে হলে শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে। ব্যাথাও বৃদ্ধি পায়। জ্বরও হতে পারে।

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে তার প্রকোপ বা মাত্রা বেড়ে যায় এর মধ্যে নাককানগলার সম্পর্কিত অনেক রোগের সংক্রমণ বাড়ে আপনি বলবেন কি নাক কান গলার রোগগুলো শীতের সঙ্গে সম্পর্কিত এবং  সময় বেশি দেখা দেয়?

শীতে সাধারণত সাইনোসাইটিস, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস (নাক দিয়ে পানি পড়া), অ্যালার্জির সমস্যা, টনসিলাইটিস, গলা বসে যাওয়া, নাক দিয়ে রক্ত পড়া, কানের প্রদাহ বেড়ে যায়। তবে একটা কথা বলতে চাই- আসলে তাপমাত্রা কোনো সমস্যা না। সাইবেরিয়াতেও কিন্তু মানুষ থাকে। সেখানে তাপমাত্রা মাইনাসে থাকে। আবার সৌদি আরবেও মানুষ থাকে। সেখানে কিন্তু ফোরটি প্লাস তাপমাত্রা থাকে। যখনই ঋতু পরিবর্তন হয় অর্থাৎ গরম থেকে শীত আসতে শুরু করে এটা ক্ষতিকর একটা সময়।     

টনসিলের ক্ষেত্রে চিকিৎসা কি?

আমরা এসময় এন্টিবায়টিক দিই। রোগী ও পাঠকদের জন্য বলবো- যদি এমন লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সরাসরি এক চামচ লবন, এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে দিয়ে গলাটা ভালো করে রিংঝিং করতে হবে। সকালে, দুপুরে এবং রাতে ১৫ মিনিট ধরে করতে হবে। যদি ৩ থেকে ৫ দিনের মধ্যে না কমে তখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। এছাড়া এন্টিবায়টিক খেলে এগুলো কমে যায়। তবে এটি যদি বারবার হয় অর্থাৎ বছরে তিন বারের বেশি হয় তবে চিন্তার বিষয়। আসলে এর একটি মাপকাঠি আছে। অর্থাৎ দুই বছরে যদি তিন তিন ছয় বার হয় তাহলে আমরা অপারেশনে যাই। কিন্তু বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অনেক সময় আমরা একটা সিঙ্গেল অ্যাটাকেও অপরেশন অ্যাডভাইজ করতে পারি। যদি আমরা দেখি এটা এতো বড় যে বাচ্চার খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে, নিশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে এবং এটা থেকে কানের বিভিন্ন  সমস্যা হচ্ছে তখন এই সিদ্ধান্ত নিই।

শীতের এই সময়টাতে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যায়।  অনেকেই বলে থাকেন  সময় নাক দিয়ে রক্ত পড়ে। এটি কেন হয়ে থাকে?

আমরা যদি বিশ বছর বয়স পর্যন্ত হিসাব করি সারা দুনিয়ার প্রত্যেকটি ব্যাক্তিরই নাক দিয়ে একবার হলেও রক্ত যাবে। নাক দিয়ে রক্ত যাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে ইডিওপ্যাথিক। ৯০% ক্ষেত্রে এটির কোনো কারণ নেই। তবে শীতকালে যে কারণে এটি বাড়ে তা হচ্ছে আমাদের নাকের মাঝখানে যে পর্দাটি থাকে, এটি হয় ডান দিকে অথবা বাম দিকে একটু বাকা থাকে। যদি বাম দিকে বাকা থাকে তাহলে সেদিক থেকে বাতাস জোরে যাবে। সম পরিমান যদি দুই দিক থেকে যায় তখন যেদিকের ছিদ্রটি ছোট সেই দিকে চাপ বেশি পায়। শীতকালে শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে নাকের ঝিল্লিও শুকিয়ে যায়। এ কারণে রক্তপাত হয়।  

শীতের অন্য একটি সমস্যা হচ্ছে অনেকেই বলেন গলা বসে গেছে। এটি অনেকের ক্ষেত্রে স্থায়ী হয়। এটি কেনো হয়?

এটি সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়। যখনই ঠাণ্ডা লাগে, যখন আবহাওয়ার তারতম্য হয়, ঠাণ্ডা বাতাস যখন গলার মধ্যে ঢোকে তখন ভাইরাসগুলো ছড়িয়ে পড়ে। যেখান থেকে আমরা কথা বলি সেখানে ভোকাল কড আক্রান্ত হয়। অনেক সময় অ্যালার্জি বেড়ে যায়। সে কারণেও ভোকাল কড আক্রান্ত হতে পারে। নাকের নাসারন্ধ্র থেকে শুরু করে একেবারে লাঞ্চ পর্যন্ত একই ঝিল্লি। এর যেকোন জায়গায় অ্যালার্জির প্রকোপ হলে এটি সবজায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকেও হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
কেমিক্যাল মানব শরীরের জন্যে যে কখনই আশির্বাদ নয় সেটা আমরা প্রত্যেক মুহূর্তেই প্রমান পেয়ে আসছি। আর তাই প্রকৃতি প্রদত্ত সেরা উপাদান অত্যন্ত দক্ষ বিশেষজ্ঞ দ্বারা বাছাই করে মানব শরীরের কোন ধরনের যাতে নতুন করে সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেই দিকগুলো বিবেচনায় রেখে কলিকাতা হারবাল আপনাদের জন্যে বহু বছর ধরে দিয়ে আসছে নাক, কান এবং গলার সর্ব শ্রেষ্ঠ ভেষজ সমাধান। নাক, কান, গলা দেহের অন্যতম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাই হারবাল উপায়ে এর চিকিৎসা করুন এবং কেমিক্যাল এর পার্শপ্রতিক্রিয়া থেকে বাঁচুন।

Leave a comment